আবদুল্লাহ আল মামুন:
মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন “ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (২য় পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পের রাজস্ব বাজেটের আওতায় বেতনভূক্ত সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ৫০০ জন কর্মরত কর্মাচারীদের চাকুরি রাজস্ব করণের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার (২১ মার্চ) দুপুর ১২টায় কুমিল্লা নগরীর কচুয়ার মোড়,চৌমুহনীস্থ মৎস্য অধিদপ্তরের,বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনে ইউনিয়ন প্রকল্পের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এবসময় মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন “ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (২য় পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পের রাজস্ব বাজেটের আওতায় বেতনভূক্ত সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ৫০০ জন ক্ষেত্রসহকারী ও অন্যান্য পদে ১২ জন সহ মোট ৫১২ জনবল ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছর হতে ৭ বছর যাবৎ নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। উক্ত প্রকল্পের মেয়াদ ৩০ জুন ২০২২ এ শেষ হতে যাচ্ছে, যা মৎস্য উৎপাদনের ধারাবাহিকতাকে ব্যহত করবে এবং উক্ত দক্ষ জনবল বেকার হয়ে পড়বে। তাই ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ শেষান্তে আমাদের চাকুরী স্থায়ীভাবে জাতীয়করণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টির মাধ্যমে হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরা বিশ্বাস করি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ডিপিপি অনুযায়ী আমাদের চাকুরী রাজস্বখাতে স্থায়ী করনের কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব। আমরা আশাবাদী যে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের চাকুরী স্থায়ী করণের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের ইউনিয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্র সহকারীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ক্ষেত্র সহকারী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক জসীম উদ্দিন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রসহকারীগণ। মানববন্ধন শেষে উপস্থিত ক্ষেত্রসহকারীগণ উপ পরিচালক বরাবর স্মারণলিপি প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, গত ২০ মার্চ ২০২২ তারিখ সারা দেশে উক্ত প্রকল্পের ক্ষেত্রসহকারী কল্যাণ পরিষদের পক্ষ হতে সারাদেশে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
