রফিকুল ইসলাম।
দায়িত্ব পালনরত পুলিশ কর্মকর্তার শরীরে সার্বক্ষণিক ক্যামেরা চালু থাকবে। শনিবার ২৪ জুলাই পরীক্ষামূলক ভাবে মাঠ পর্যায়ে এই কার্যক্রম শুরু করে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (পশ্চিম) উপ কমিশনার মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এর আগে রাজধানী ঢাকায় ট্রাফিক পুলিশ এই কার্যক্রম শুরু করলেও থানা পর্যায়ে দেশে প্রথমবারের মতো এই কার্যক্রম শুরু করছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ(সিএমপি)।
এ কার্যক্রম উদ্বোধন কালে মোঃ আবদুল ওয়ারীশ জানান,পাইলট প্রকল্পের আওতায় আপাতত সিএমপির চার বিভাগের চার থানায় এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
এখন শুরু করা হচ্ছে চারটি থানায় যথাক্রমে, ডবলমুরিং, কোতোয়ালী, পাঁচলাইশ এবং পতেঙ্গা থানায়। প্রত্যেক থানাকেই ৭ টি করে এ ক্যামেরা প্রদান করা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সিএমপি’র ১৬ থানায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন ‘দি বাংলাদেশ টুডে’ কে বলেন, ‘এসব ক্যামেরা ভ্রাম্যমাণ সিসিটিভি’র কাজ করবে, আমাদের চোখ এড়িয়ে গেলেও এই ক্যামেরা সবকিছু রেকর্ড করে রাখবে। এই উদ্যোগ আমাদের ডিজিটালাইজেশনের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নিবে বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রাম কে।
এই ক্যামেরা অডিও, ভিডিও এবং ছবি ক্যাপচার করা যায় জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোন স্থানে বসেই সবকিছু তদারকি করা যাবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিএমপি’র কোতোয়ালি থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ‘দি বাংলাদেশ টুডে’ কে ওভার ফোনে বলেন, এটি একটি খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ এবং আমি একে স্বাগত জানায় সেই সাথে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় সিএমপি কমিশনার মহোদয় এর প্রতি।
এ ক্যামেরা’র কারণে পুলিশের জবাবদিহিতা আরও নিশ্চিত হলো, কেউ আর বলতে পারবেন না যে, পুলিশের কাছে হয়রানির শিকার হয়েছে বা পুলিশ অন্যায় করেছে কিংবা কারো নাগরিক অধিকার হরন করেছে এমনটা অভিযোগের সুযোগ আর নেই। স্বচ্ছতার মানদণ্ডে পুলিশ আরও একধাপ জনগনের আস্থায় জায়গা করে নিলো
(সূত্র maasranga24.com)