নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের হেভিওয়েট দুই প্রার্থী মধ্যে
আওয়ামী লীগের মনোনীত একক প্রার্থী থাকায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তবে দলের মনোনীত প্রার্থীকেই সমর্থন জানিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় পাল্টে গেছে ভোটের সমীকরণ। একক প্রার্থী হওয়ায় এখন জয়ের স্বপ্ন দেখছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বর্তমানে পাঁচ মেয়র প্রার্থী মাঠে আছেন। এদের মধ্যে আলোচনায় আছেন হেভিওয়েট দুই প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, সদ্যবিদায়ী মেয়র ও সাবেক বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরও দলীয় কোন্দলের কারণে সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ১০ বছরেও চেয়ারে বসতে পারেননি। প্রতিষ্ঠার পর দুই নির্বাচনেই বিএনপির একক প্রার্থী থাকায় জয় লাভ করেন মনিরুল হক সাক্কু। তবে এবার নির্বাচনী মাঠে হয়েছে উল্টো চিত্র। আওয়ামী লীগের ভূত বিএনপির ঘাড়ে। ফলে নৌকা বিপুল ভোটে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
তবে দীর্ঘদিনের ভোটের অভিজ্ঞতায় এবারও জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বিএনপি নেতা মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। অন্যদিকে ভোটারদের মধ্যে নেতৃত্বের পালাবদল হবে এবার। শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকে বিজয়ী হয়ে ঘরে ফিরবেনকে । তবে ১৫ জুন কার মাথায় জয়ের মুকুট উঠবে এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। চলছে আলোচনা-সমালোচনাও।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেন, এবার আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে গণজোয়ার দেখা দিয়েছে। ১৫ জুন জয়ের মালা আমরাই পড়বো ইনশাআল্লাহ।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, কুমিল্লা সিটির উন্নয়নে মেয়র সাক্কুর বিকল্প নেই। মানুষের ভালোবাসায় বিপুল ভোটে দুবার নির্বাচিত হয়েছি। এবারও বিজয়ী হবো। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাকে ছুঁতে পারবে না।
নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থীর অন্য তিন জন হলেন- ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির কামরুল আহসান বাবুল (স্বতন্ত্র)ও নিজাম উদ্দিন কায়সার (স্বতন্ত্র)।
এছাড়া ২৭ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১০৬ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
শুক্রবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন।
এবার সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সিটিতে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯১৮। তাদের মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২। পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬।