নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের তিন সদস্যের কমিটির তিন জনের বিরুদ্ধেই বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।
এরা হলেন কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন অপু, সাধারণ সম্পাদক তুহিন হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাধব চন্দ্র বৈষ্ণব।
মঙ্গলবার রাতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের প্যাডে এ কমিটিতে সই করেন।
তিন জনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন উপজেলার সাত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদক। তারা বুধবার রাতে মেইলে এবং বৃহস্পতিবার ডাকযোগে অভিযোগপত্র পাঠান। তারা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সভাপতি প্রবাসে ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক ছাত্রদল থেকে এসেছেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাদকের সঙ্গে জড়িত। সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আনিছুর রহমান লিটন জানান, সদর দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির তিনজনের মধ্যে অপু পারিবারিকভাবে বিদেশে ছিলেন। তিন বছর পর দেশে ফিরে তিনি সভাপতি পদ পেয়েছেন। তিনি বিয়েও করেছেন।
তিনি জানান, সাধারণ সম্পাদক তুহিন ছাত্রদল করতেন। তিনিও বিদেশ থেকে ফিরে পদ পেয়েছেন। তার কোনো ছাত্রত্ব নেই। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে বরণ করার ছবি এখন ফেসবুকে ভাইরাল। সাংগঠনিক সম্পাদক মাধব চন্দ্র বৈষ্ণবের মাদক সেবনের ছবিও ফেসবুকে ঘুরছে।
নবগঠিত এই কমিটির বিষয়ে লিটন বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে উপজেলার সাত ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে নতুন কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন অপু বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। কারও কাছে প্রমাণ থাকলে দেখাতে বলেন। আমি অষ্টম শ্রেণি পড়া অবস্থা থেকে ছাত্রলীগে কাজ শুরু করি। বিদেশে গিয়েছি আমার বোন জামাতার কাছে। আমি কোনো চাকরি করিনি। আমি বিয়ে করলে তাদেরকে প্রমাণ দেখাতে বলেন। তারা মূলত পদ পাওয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।’
সাধারণ সম্পাদক তুহিন হোসেন বলেন, ‘বিএনপির সাবেক এমপির সঙ্গে যে ছবি, সেটি অনেক আগের। আমি তখন স্কুল ছাত্র ছিলাম। আমি এখনও ছাত্র।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল বলেন, ‘অন্তত ১০০ জন সভাপতি হতে ইচ্ছুক। সবাইকে কি সভাপতি করা যায়? যারা পদ পাননি তারা এখন বিষোদগার করছেন।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব অপি বলেন, ‘নব গঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিবাহিত নয়। আমরা স্থানীয়ভাবে তদন্ত করে দেখেছি। তারা দুইজনই ছাত্র। যারা পদ পায়নি তারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।