নিজস্ব প্রতিবেদক।
কুমিল্লা মোহামেডানকে ২-৪ গোলে হারিয়ে আবাহনীর জয় ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে আবাহনী যে ঝড়টা তুলেছিল সেটা সামাল দিতে পারেনি মোহামেডান। ফলে শুরুতেই ম্যাচের স্কোরটা ২-০ করে ফেলে আবাহনী। প্রথম দুটি গোলই দুর্দান্ত-কর্নার থেকে সরাসরি বল জালে পাঠান বিশ্বকাপ খেলা ফরোয়ার্ড কোস্টারিকার কলিন্দ্রেস।
অষ্টম মিনিটে কলিন্দ্রেসের গোলের ২ মিনিট পর আবারও গোল। এবার ব্রাজিলের ডরিয়েলটন দুইজনের মাঝ দিয়ে দুর্দান্ত শটে গোল করেন। শেষ পর্যন্ত আবাহনী ম্যাচ জিতেছে ৪-২ গোলে। মোহামেডান দুইবার গোল করে ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়েছিল। তবে পারেনি।
বুধবার কুমিল্লার ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আবাহনী ও মোহামেডানের ম্যাচটিতে ৬ গোল হয়েছে তার চারটিই ছিল দেখার মতো। মোহামেডান ২-৪ গোলে হারলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। কখনো ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে দেখা যায়নি তাদের। গোলের ব্যাবধানটা বলছে আবাহনী একপেশে ম্যাচ খেলে জিতেছে। আসলে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান ম্যাচে প্রকৃত চিত্র ফুটিয়ে তুলেনি। এ ম্যাচে মোহামেডান পয়েন্ট পেলেও পেতে পারতো।
মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে দর্শক যে ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা চায় তেমনই হয়েছে। ৮০ মিনিটে আবাহনীর ডিফেন্ডার রেজাউল দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিনত হয় আকাশী-নীলরা। ওই দশ মিনিট তারা সময় কাটিয়েছে মোহামেডানের আক্রমন ঠেকিয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্য মোহামেডানের ঘরের মাঠে তারা আর গোল বের করতে পারেনি। একবার গোল করলেও তা বাতিল হয়ে যায় অফসাইটের কারণে।
১০ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া মোহামেডান ব্যবধান ২-১ করতে বেশি সময় নেয়নি। ১৮ মিনিটে মালির ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতের গোল ব্যবধান কমায়। কিন্তু আবাহনী আবার ব্যবধান বাড়িয়ে দেন বদলি হিসেবে নামা ইমন বাবুর গোলে।
শাহরিয়ার ইমনের গোল মোহামেডানকে দ্বিতীয়বার ম্যাচে ফেরার পথে এনেছিল। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ের গোল স্কোর হয়েছিল ৩-১। কিন্তু ইনজুরি সময়েই চতুর্থ গোল আদায় করে নেয় আবাহনী। ডরিয়েলটনের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান ৪-২ করে দেয় আবাহনীকে। দ্বিতীয়ার্ধে স্কোরশিটে আর পরিবর্তন আসেনি। আবাহনী কুমিল্লা জয় করে ঝুলিতে তিন পয়েন্ট যোগ করে রওনা দেয় ঢাকার পথে।
এই জয়ে আবাহনী টিকে রইলো শিরোপার লড়াইয়ে। হেরে গেলে তাদের সে সুযোগটা কমে যেতো। ১৬ ম্যচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্টের দূরত্বেই থাকলো তারা। মোহামেডানের সুযোগ ছিল আবাহনীকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের একটু ওপরে তোলার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছ থেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে না পারায় ১৬ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৬ নম্বরেই পড়ে রইলো তারা।