নেকবর হোসেন।
কুমিল্লা নগরীর ঐতিহ্যবাহী ধর্মসাগরে সৌখিন মৎস শিকারীদের মিলনমেলা চলছে গতকাল সকাল থেকেই শিকারিরা জড়ো হয়েছেন কুমিল্লা নগরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মসাগরের পাড়ে। তাঁদের কারও হাতে বড়শি, আবার কারও হাতে মাছের খাবার। কেউ কেউ আবার মোড়া ও মাছ রাখার জাল নিয়ে এসেছেন। মৎস শিকারারী কুমিল্লা, ঢাকা,চট্টগ্রাম ছারাও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাছ শিকারের জন্য এসেছেন।
আগতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে ধর্মসাগরের চার পাড়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেন কয়েক শ মৎস শিকারি। আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে মৎস শিকার।মাছ শিকার দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় লক্ষ্য করা গেছে এই মাছ ধরার উৎসবে বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কাতল, ব্রিগেড, মৃগেল, তেলাপিয়া, কালবাউশ, পাঙাশসহ দেশি প্রজাতির নানা জাতের মাছ। নগরের ধর্মসাগরপাড়ে উৎসবকে কেন্দ্র করে যেন এক মিলনমেলা চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধর্মসাগরের চার পাড়ে বাঁশ ও কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ৯০ টি মাচা করা হয়েছে। প্রতিটি মাচায় সর্বনিম্ন পাঁচজন থেকে সর্বোচ্চ আটজন পর্যন্ত মাছ ধরতে বসেছেন। প্রতি মাচার ফি ১৭ হাজার টাকা করে। এছাড়া ১০ টি ভিআইপি মাচা করা হয়েছে, যেখানে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার সহ গুরত্বপূর্ন ব্যাক্তিবর্গ মৎস শিকার করবে ৯০ টি মাচায় অন্তত ৫শতাধিক মৎস শিকারি অংশ নেন।
ধর্মসাগরের পশ্চিম ও পূর্বপাশে সাধারন জনগন ও উত্তর, দক্ষিণ পাড়ে ভিআইপিগন মৎস শিকার করছে। ধর্মসাগরের পশ্চিম পাড়, রানীরকুঠিরের লাগোয়া উত্তর পাড় এবং কুমিল্লা জিলা স্কুলের লাগোয়া পূর্ব পাড় ও দক্ষিন পাড় ঘুরে নানা বয়সী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৎস শিকারের প্রথম দিনে বড় মাছ তেমন ধরা না পরলেও ছোট আকারের মাছ আসছে,আশা করা যাচ্ছে, আজ বড় বড় মাছ শিকার করা যাবে।
মৎস শিকার করতে আসা সৌখিন মৎস শিকারী হেলাল উদ্দিন মজনু জানান,শুক্রবার দুপুরে মাছের খাদ্য ছিটিয়েছি,এখন পর্যন্ত্র ২-৩ কেজি ওজনের মাছ পাচ্ছি, আশা করি আজ(শনিবার) বড় সাইজের মাছ পাব।মাছ পাওয়া টা বড় বিষয় নয়, সবাই মিলে আনন্দটা উপভোগ করাই আসল মজা।সফল আয়োজনের জন্য আয়োজক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ধর্মসাগর এর ইজারাদার ও মৎস শিকারের আয়োজক মোঃ মারুফ জানান,আমরা প্রতিবছরই মাছ শিকারের আয়োজন করে থাকি।এ বছর সর্বসাধারনের জন্য টিকেটের বিনিময়ে ৮০ টি মাচা ও ১০ টি ভিআইপি মাচার মাধ্যমে মৎস শিকার উৎসব চলছে, আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ মৎস শিকার চলবে।