মারুফ আহমেদ কুমিল্লা।
কুমিল্লায় কফির সাথে চালককে চেতনানাশক পান করিয়ে একটি প্রাইভেটকার ছিনতাই করা হয়েছে। বুধবার ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ২জনকে গ্রেফতারসহ ছিনতাই হওয়া প্রাইভেটকাটি উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলার সদর দক্ষিন উপজেলার কনেশতলা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে আসিফ আহাম্মেদ ওরফে মাটি (২২) এবং একই এলাকার কালা মিয়ার ছেলে শাহজালাল ওরফে সাকিল (২৩)। এর আগে গত ১৫ আগস্ট রোববার সকালে নগরীর টমছমব্রীজ এলাকা থেকে চালক আব্দুল কুদ্দুসকে চেতনানাশক পান করিয়ে তার প্রাইভেটকারটি ছিনতাই করে।
ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রাইভেট কারের মালিক মিজানুর রহমান ১৭ আগষ্ট কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় পুলিশ সুপার ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ অপরাধীকে ধৃত করতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যে ছিনতাই হওয়া প্রাইভেটকারসহ দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা ডিবি পুলিশের এসআই পরিমল চন্দ্র দাস জানান, গত ১৫ আগস্ট খাগড়াছড়ি যাওয়ার কথা বলে গ্রেফতারকৃত আসিফ আহাম্মেদ ওরফে মাটি এবং তার সহযোগি শাহাজালাল প্রাইভেটকারটি ৬ হাজার টাকায় ভাড়া করে। এ সময় চুক্তি অনুযায়ী চালক আব্দুল কুদ্দুস প্রাইভেট কার নিয়ে কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রীজ এলাকাস্থ এবি ফুডের সামনে অপেক্ষা করেন। পরে যাত্রী বেশে থাকা ছিনতাইকারীরা চালককে কফির সাথে চেতনানাশক পান করিয়ে অজ্ঞান করে তাকে গাড়ির পেছনের সিটে বসিয়ে গাড়িটি ছিনতাই নিজেই ড্রাইভ করেন। এরপর খাগড়াছড়ি সড়কের রামগর এলাকার হেয়াকো বাজার সংলগ্ন একটি পাহাড়ের নিচে মৃত ভেবে চালক কুদ্দুছকে ফেলে গাড়িটি নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
এ নিয়ে গাড়ির মালিক মিজানুর রহমান গাড়িসহ চালকের কোন সন্ধান না পেয়ে ১৭ আগস্ট কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ করেন। বিষয়টি পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেন। ডিবি পুলিশের এলআইসি টিমের এসআই পরিমল চন্দ্র দাসের সঙ্গীয় ফোর্স প্রযুক্তির সূত্র ধরে ঘটনায় জড়িত আসিফ আহাম্মেদকে কুমিল্লা নগরীর ইয়াছিন মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছিনতাইকৃত প্রাইভেটকার এবং অপর ছিনতাইকারী শাহজালাল ওরফে সাকিলকেও তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।