নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার তিতাসের জিয়ারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আশরাফ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার জন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (০১ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি বসতঘরসহ নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে। তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর পাড় থেকে দুটি পাইপগান উদ্ধার করেছে। আহতদের উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে নয় জনকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন অলিউল্লাহ, স্বপন মিয়া, রনি মিয়া, সোহাগ হোসেন, আরমান, মনু মিয়া, আলম, মাসুদ, ইয়ার খান ও রহিম। বাকি দুই জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৃত্তিকা অথৈ বলেন, ১২ জনকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য আনা হয়।
এদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠিয়েছি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আশরাফ বলেন, সোমবার ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কর্মী-সমর্থকরা গোপালপুর গ্রামে নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল খায়েরের লোকজন হামলা চালায়। প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পানিতে ফেলে দেয়। পুলিশকে ফোন করলে ঘটনাস্থলে যায়। তাদের সহযোগিতায় আমার লোকজন নিরাপদে চলে আসে। পরে কে-বা কারা মারামারি করেছে আমি তা বলতে পারবো না।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল খায়ের বলেন,আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আশরাফের লোকজন কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশাযোগে গোপালপুরে এসে আমার নির্বাচনি অফিস,মাদ্রাসা এবং কয়েকটি বসতঘর ভাঙচুর করে। এ সময় আমার কয়েকজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। গোপালপুর গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ির পুকুর পাড় থেকে দুটি পাইপগান উদ্ধার করি। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।