নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপ ও তার কাছাকাছি এলাকায় থাকা মাজার পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে মণ্ডপ পরিদর্শন করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি ও পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তারপর যে মাজার থেকে কোরআন শরিফটি আনা হয়েছে, সেই মাজার পরিদর্শন করেন তারা। পুলিশ সদরদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-ক্রাইম) এ ওয়াই এম বেলালুর রহমান এআইজি জালাল উদ্দিন (অপারেশন)এআইজি মোহাম্মদ উল্লাহ। তাদের সঙ্গে ছিলেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহাদাৎ হোসেনসহ জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
মাজার ও মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ডিআইজি বেলালুর রহমানের কাছে কোরআন অবমাননাকারীকে আটক করা হয়েছে কি না,জানতে চান সাংবাদিকরা। সে প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি তিনি।
সংবাদ সম্মেলন করা হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।
দুর্গাপূজায় সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে গত বুধবার ভোরে কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা।
নানুয়ার দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে চলে ব্যাপক ভাঙচুর, আক্রান্ত হয় নগরীর আরও বেশকিছু পূজামণ্ডপ। পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।