মন্তব্য প্রতিবেদন খবরের সন্ধানে।
প্রথম আলোর এসপি লীগ নামের প্রতিবেদনটি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লাম এবং বিভিন্ন কমেন্টস কারীদের কমেন্টস বিশ্লেষন করলাম সাধারনত পুলিশের বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ হলে সে ক্ষেত্রে নেতিবাচক কমেন্টসই পরে কিন্তু এসপি লীগ শিরোনামের প্রথম আলোর প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কমেন্টস এর চেয়ে ইতিবাচক কমেন্টস এর সংখ্যাই বেশি। পুলিশ অফিসার সৈয়দ নুরুল ইসলাম একজন জনপ্রিয় ও নন্দিত অফিসার বিধায় তার ক্ষেত্রে নিউজের বিপরীতে ইতিবাচক কমেন্টকারীর সংখ্যাই বেশি জনাব সৈয়দ নুরুল ইসলাম বর্তমানে ডিএমপি ঢাকার যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ)হিসেবে কর্মরত আছেন।
তিনি ২০ তম বিসিএস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে এএসপি পদে যোগদান করেন। তিনি পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করার পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন এবং এফ. রহমান হলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (শা-পা) কমিটির কেন্দ্রীয় পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান এবং সুষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে তিনি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
সরকারের পট পরিবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কারনে তাকে অবৈধভাবে চাকুরীচ্যুত করা হয় তিনি অনেক চড়াই উৎরাই ও ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে চাকুরী ফিরে পান এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ঢাকা মেট্টোপলিটনসহ অপরাধপ্রবন নারায়নগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা জেলায় অত্যন্ত সুনামের সাথে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উক্ত জেলাবাসীরা এখনও তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
মেধাবী ও সুবক্তা হিসেবে খ্যাত চাকুরীতে অদম্য সাহসিকতা ও মানবিক কাজের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ সম্মাননা বিপিএম পদক তিনবার এবং পিপিম পদক একবার অর্জন করেন এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন হতে বহু পুরুস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহন করার সুবাদে সে এলাকার জনসাধারনের নিকট তার দায়বধ্যতা অনেক বেশি। তাই তিনি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের কল্যানে ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাত্র কল্যান সমিতি গড়ে তুলেন। সমিতির কল্যানের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে পরিচয় লাভসহ অনেক দরিদ্র অসহায় ও মেধাবী ছাত্ররা বেশ উপকৃত হয়।
আমের মৌসুমে অনেক দরিদ্র আম চাষীরা অধিক লাভবানের আশায় দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন আড়তে পাইকারী ও খুচরা আম পাঠান দেশের বিভিন্ন এলাকার অসাধু আম ব্যবসায়ীরা দরিদ্র চাষীদের আমের টাকা মেরে দেয় বা বিভিন্ন টালবাহানাকরে টাকা পরিশোধ করে না। অসহায় দরিদ্র আম চাষীরা মানবিক পুলিশ অফিসার সৈয়দ নুরুল ইসলামের নিকট গিয়ে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সৈয়দ নুরুল ইসলাম আম চাষীদের টাকা দ্রুত উদ্ধার করার ব্যবস্থা করে দেন এবং আম চাষীদের মাঝে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।
এছাড়া সৈয়দ পরিবার মানুষের পাশে কল্যানের জন্য “জি কে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেন। সৈয়দ পরিবার জিকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তাদের এলাকার অস্বচ্ছল দুস্থ পরিবারদের আর্থিক সহায়তাসহ খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন। তাদের এলাকার যে সমস্ত পরিবার অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসাতো দূরের কথা নূন্যতম চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে পারেন না, সেই সকল অস্বচ্ছল পরিবারের অসুস্থ ব্যক্তিদের জিকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করেছেন। এমন হাজার নজির রয়েছে। এছাড়াও অস্বচ্ছল পরিবারের মেধাবী ছেলে মেয়ে উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা করেন।এসব কারনে শিবগঞ্জ উপজেলার জালমাছমারীর সৈয়দ পরিবার শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীর নিকট আস্থার শেষ ভরসার স্থল হয়ে উঠেন।
চাঁপাইনবাব গঞ্জ জেলার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুইটি জামায়েত ইসলামের সমর্থিত দুইজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন এবং শিবগঞ্জ সংসদীয় আসনটিতে আওয়ামীলীগের পক্ষে তার পরিবার সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এলাকায় ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করায় জামাত শিবিরে দূর্গ খ্যাত জেলার শিব গঞ্জের সংসদীয় আসনটিতে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সংসদ সদস্য জয়লাভ করেন পুলিশ অফিসার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও তার পরিবার শিবগঞ্জ থানা এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারনে স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে তার বড়ভাই সৈয়দ নজরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
শিবগঞ্জ পৌর এলাকার সাবেক জনপ্রতিনিধি লাগামহীন দূনীর্তি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনে স্থানীয় পৌরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে সৈয়দ নুরুল ইসলামের উচ্চ শিক্ষিত ছোট ভাই সৈয়দ মনিরুল ইসলামকে পৌর নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ জানায় এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগা যোগ মাধ্যমে পৌরবাসীরা তার পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালাতে থাকে। পরবর্তীতে পৌরবাসীর কল্যানের জন্য সৈয়দ মনিরুল ইসলাম শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হন এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। মাত্র অল্প দিনেই শিবগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক শুরু করেন। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক দেখে পৌরবাসীর মধ্যে সৈয়দ মনিরুল ইসলাম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
এরই মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীর আপামর জনসাধারন বিপুল ভোটে নির্বাচিত বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ নজরুল ইসলামের সততা ও দক্ষতা এবং এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের ভূমিকা দেখে তাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি পদের নির্বাচন করার জন্য মানবন্ধনসহ বিভিন্ন সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। জনগনের দাবীর প্রেক্ষিতে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘোষনা দেন যে দল যদি তাকে মনোনয়ন দেন তাহলে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।
সৈয়দ পরিবার হতে এমন ঘোষনা প্রেক্ষিতেই একশ্রেণীর স্বার্থন্বেষী মহল নন্দিত পুলিশ অফিসার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম সাহেবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে এবং তারা ভিন্ন ভিন্ন নামে বিভিন্নভাবে অপ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে প্রবাদে আছে শক্র তৈরী করলে হলে খারাপ কাজ করার দরকার নেই আপনি ভাল কাজ করে যান এমনিতেই আপনার শক্র তৈরী হবে। কথাটি যেনো সৈয়দ পরিবারের জন্য প্রযোজ্য।
(মন্তব্য প্রতিবেদনটি লিখেছেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পরিদর্শক পরিমল দাশ পিপিএম।)