নিজস্ব প্রতিবেদক।
ময়মনসিংহের কোতোয়ালি পুলিশের মানবিক দায়িত্বশীল ভুমিকায় ৫ মাসের এক অন্তঃসত্বা নারী প্রাণে বেঁচে গেল। ঐ নারীর নাম সোমা। সে নগরীর জে সি গুহ রোডের জনৈক আব্দুল হাকিমের স্ত্রী। পুলিশের মানবিক ভুমিকার খবর নগরময় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের এই ভুমিকার জন্য উচ্চ প্রশংসা করেন ময়মনসিংহবাসি।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে,সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পান, নগরীর জে সি গুহ রোডে জনৈক মোঃ আব্দুল হাকিম এর স্ত্রী সোমা (২৫) প্রসব বেদনায় তালাবন্ধ ঘরে কাতরাচ্ছে।
খবর পেয়ে দায়িত্বশীল মানবিক ওসি শাহ কামাল আকন্দ তাৎক্ষনিক এস আই শুভ্র সাহা, কোতোয়ালি মডেল থানা সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাত্রকালীন ডিউটিরত মোবাইল- টিম- ১ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এ সময় পুলিশ স্থানীয় লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে বাসার সামনের দিকের তালাবন্ধ দোকান ঘর দিয়ে ঐ নারীর বাসায় ঢুকা সম্ভব নয়। ওসির নির্দেশনায় পুলিশ দল উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় বাড়ির পিছনের দিকের বাথরুমের দেয়াল ভেঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা সোমাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জরুরি বিভাগের ডাক্তার সোমাকে তৎক্ষণাৎ লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মিসক্যারেজ জনিত কারণে হাসপাতালে ডিএমসি করানো হয়। সোমার মারাত্মক রক্তশূন্যতা সহ শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। পরবর্তীতে সোমাকে ওটিতে নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে সোমা সুস্থ আছেন। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে রাত দুইটার দিকে খবর পান। খবর পেয়ে যে কোন উপায়ে সোমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে নির্দেশ দেই।
ঘটনার সময় ঐ বাসায় কেউ ছিল না। নির্দেশমতে মধ্যরাতে দেয়াল ভেঙ্গে অন্তঃসত্বা নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এঘটনায় স্থানীয়রা কোতোয়ালি থানা পুলিশের মানবিক কাজের প্রসংশা করেছেন। স্থানীয়দের দাবি করছেন এর আগে কোন পুলিশ অফিসার এ ধরনের মানবিক কাজে এগিয়ে আসেনি।
(সূত্র বিএমটিভি নিউজ)