নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে সকাল থেকে বিভিন্ন ফাইল নিয়ে অপেক্ষায় কর্মকর্তারা। একে একে সেগুলো দেখে স্বাক্ষর করলেন মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু। শেষ কর্মদিবস ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়ে বিদায় নিলেন বিএনপির এই নেতা। নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলে গেলেন, মেয়র যে-ই হোক না কেন, তাকে যেন সবাই সহযোগিতা করে।
সোমবার বিকেল ৩টায় বিদায় নেয়ার সময় কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবা প্রত্যাশীদের কাছে দোয়া চান টানা দুই বারের মেয়র সাক্কু তিনি বলেন, ‘আমি দুই মেয়াদে এই সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করেছি। আজ সোমবার আমার শেষ কর্মদিবস। শেষ দিনে সহস্রাধিক ফাইল স্বাক্ষর করেছি। মোটামুটি সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছি। এখন থেকে নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
২০১২ সালে সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে জয় পেয়ে মেয়র হয়েছিলেন সাক্কু। আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সদ্য প্রয়াত আফজল খানকে ৩৫ হাজারের বেশি ভোটে সে বার হারিয়েছিলেন তিনি ২০১৭ এর নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে ১১ হাজার ভোটে হারিয়ে ফের মেয়র হন সাক্কু।
গত নির্বাচনের ইশতেহারে নগরীর যানজট-জলাবদ্ধতা নিরসনসহ ২৭টি সমস্যা সমাধানের যে পরিকল্পনা ছিল, তার কতটা বাস্তবায়ন হলো? জবাবে বলেন, ‘আমি যে ইশতেহার ঘোষণা করেছি, তার ৬৫ ভাগ সম্পন্ন করেছি। এবার নির্বাচিত হলে আমি বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করব।
আর নির্বাচিত না হলে? সাক্কু বলেন মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে আমি সাংগঠনিক কাজে সম্পৃক্ত হতে পারি নাই। যদি মেয়র না হই, তাহলে আবারও আগের মতো মাঠের রাজনীতিতে ফিরব। নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন আমি নির্বাচিত হই বা অন্য কেউ মেয়র নির্বাচিত হোক- সবাই সহযোগিতা করবেন। তাহলেই সুন্দর ও সুপরিকল্পিত কুমিল্লা নগরী গড়ে উঠবে।