রফিকুল ইসলাম
মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে সন্তানেরা। সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের ঘটনা এটি। স্বামী ছিলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মারা যান মুক্তিযোদ্ধা স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি স্বামীর বাড়িতেই থাকছিলেন। প্রতিনিয়ত তাকে নিজ সন্তানদের হাতে নানা রকম নিপীড়নের শিকার হতে হতো। এক পর্যায়ে সেই মাকে তার সন্তানেরা বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ছয় সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট এক মেয়ে। কলেজে পড়ে। সেও বেরিয়ে আসে মায়ের সাথে। নিজ বাড়িতে ঠাঁই হচ্ছিল না এই বৃদ্ধার। কোনো ভাবে সমস্যার সমাধান করতে না পেরে গত ২৭ জুলাই ২০২১ খ্রি: মায়ের পক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে বিষয়টি জানায় কলেজ ছাত্রী ছোটো মেয়ে।
বার্তা পেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার ওসি মো: ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীকে নির্দেশনা দেয় বৃদ্ধা মাকে সম্মানের সাথে তার বাড়িতে তুলে দিতে। তার জীবদ্দশায় স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে তাকে যেনো কোনো ভাবেই বঞ্চিত করা না হয় সেই ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে বলা হয়। এর প্রেক্ষিতে, ওসি জগন্নাথপুর তাৎক্ষনিকভাবে উক্ত বৃদ্ধাকে খুঁজে বের করে তাকে তার বাড়িতে তুলে দেয়। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতি ও মধ্যস্থতায় মায়ের নিরাপত্তার উদ্যোগ নেয়া হয়। ভুক্তভোগী মা থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করতে রাজি হননি। বৃদ্ধা মা’কে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ তার পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে বা মায়ের কোনো অসম্মান হলে অভিযুক্ত সন্তানদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ কল্যাণ ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিষয়াদির নাম পরিচয় প্রকাশ না করার পলিসি অনুসরন করে থাকে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
শ্রদ্ধান্তে
মো. সোহেল রানা
এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স)
বাংলাদেশ পুলিশ