রুবেল মজুমদার।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভা নির্বাচন সকাল ৮ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ সোমবার সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ৯ টি ওয়ার্ডে ১১ টি ভোট কেন্দ্রে ৪৩ জন কাউন্সিলর ও ১১ জন মহিলা কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৩নং ওয়ার্ডের মডেল মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পাশে সকাল বেলা চাপাতিসহ ৩ যুবককে আটক করে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ইভিএম এর মাধ্যমে নাঙ্গলকোট পৌরসভায় প্রথম ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোট প্রদানে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও কয়েকটি কেন্দ্রে যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে সময়ে সময়ে ভোট বন্ধ থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পাঞ্জাবি প্রতিকের প্রার্থী নূর গোলশাহকে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কর্তৃক মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন।
তিনি। নির্বাচন চলাকালে পুলিশ, র্যাব, ডিবি, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত ছিল। তাছাড়াও প্রত্যেক কেন্দ্রে ১ জন করে নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচন চলাকালে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান,পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ বিপিএম সহ উদ্ধর্তন প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
সোমবার (২০ সেক্টেম্বর) সন্ধ্যয় ৬টায় নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাচন কমিশন ১নং ওয়ার্ড মোশারফ হোসেন, ২নং ওয়ার্ড আক্তারুজ্জামান ৩নং ওয়ার্ড জহিরুল্লাহ সুমন ৪নং ওয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন সুমন,৫নং ওয়ার্ড শেখ রাসেল,৬নং ওয়ার্ড মোঃ সাদেক
৭নং ওয়ার্ড জামাল উদ্দিন সোহাগ ,৮নং ওয়ার্ড খোরশেদ আলম ,৯নং ওয়ার্ড মোঃ জাফরকে বেসরকারি ভাবে নিবার্চিত করে।
উল্লেখ্য যে, গত ১১ এপ্রিল মেয়র পদে আব্দুল মালেক নৌকা প্রতিক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। করোনা মহামারীর কারণে স্থগিত হওয়া নির্বাচন সোমবার অনুষ্ঠিত হয়।