আবদুল্লাহ আল মামুন।।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলীয় দুই নেতা নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দাল কর্তৃক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উম্মাহাতুল মুমিনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা রা. কে নিয়ে করা কুটুক্তির প্রতিবাদে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও মুসল্লিদের নিকট ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে দাগনভূঞায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। রবিবার (১২ জুন) বাদ আসর দাগনভূঞা ওলামা মাশায়েখ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার আয়োজনে ও আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইউসুফ কাসেমীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি দাগনভূঞা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিরোপয়েন্ট এলাকায় এসে সমাবেত হয়। সমাবেশে আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইউসুফ কাসেমীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র ওমর ফারুক খাঁন, বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কায়েস রিপন, সম্পাদক জসিম উদ্দিন লিটন, দাগনভূঞা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন, দাগনভূঞা দারুল কুরআন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আতিকুল্লাহ আল মামুন, কৌশল্লা ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা ইউনুছ ও মাওলানা ইসমাঈল সহ হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আামাদের সকলের নবী। বিশ্বনবীকে কটুক্তি করা মানে সকল মুসল্লীদের কুটুক্তি করা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ভারতের সাথে সকল ধরনের বানিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ রেখেছে। নবীর দুশমনরা পৃথিবীর যেখানেই নবীর বিরুদ্ধে কথা বললে অথবা পদক্ষেপ নেবে সেখানেই তৌহিদী ইসলামিক জনতা প্রতিবাদ করবে।’’ মুফতি ইউসুফ কাসেমী বলেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদেও প্রাণের চাইতে প্রিয় তারা তাদেও জান, মাল, বিবি, বাচ্চা থেকেও নবীজিকে বেশি ভালোবাসেন। সারা বিশ্বেও সর্বস্তরের মানুষের একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
নবীজির ইজ্জত রক্ষার্থে ভারতের সাথে সর্ব প্রকার সম্পর্ক চিহ্ন ও ভারতীয় সকল প্রকার পণ্য বর্জন করে নবীজির ভালোবাসার পরিচয় দিয়ে হাশরের ময়দানে নবীজির সুপারিশ পাওয়ার উপযুক্ত হই। যারা নবীজিকে নিয়ে কুটুক্তি করেন তারা মানবতার শত্রু। দু:খের বিষয় হলো ভারতের রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে এমন জগন্যতম অপকর্মের প্রতিবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত থেকে কৈফিয়ত তলব করা আমাদের সকারের উচিত।