হালিম সৈকত কুমিল্লা তিতাস প্রতিনিধি।
তিতাস উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্যেমূলক সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মৌসুমী আক্তারের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ আগস্ট বুধবার সকাল ১১ টায় তিতাস প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন সদ্য বহিষ্কৃত তিতাস উপজেলা মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মৌসুমী আক্তার।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার করার লক্ষে হয়রানিমূলক মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন, আখি নামের একটি মেয়েকে হোমনায় আটক করা হয়েছে দুপুরে আমাকে কল করায় আমি সেখানে যাই। আখি আমার ফ্লাটের নিচে ভাড়া বাসায় থাকে। তাই তার বিপদ শোনে আমি তাকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু হোমনা থানার ওসি বাদীর অগোচরে জোরপূর্বক মামলা দিয়ে আমাকে ছিনতাই মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমার হাতের মোবাইলটি ফেরত আনতে হোমনা থানার এসআই শুভ কুমার শুর পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছিল পরে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে মোবাইলটি আনতে হয়েছে।
আমি শ্রমিকলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকার পদ ফেরত চাই। দোষ প্রমাণের আগেই আমাকে কিভাবে দোষী প্রমাণ করলো। আর তাদের বহিষ্কার আদেশও সঠিকপন্থায় হয়নি।
এই বিষয়ে মামলার বাদি মোঃ মনু মিয়া বলেন, আমাকে টাকা ফেরত দিবে বলে সাক্ষর নেয়। পরে শুনি মামলায় সাক্ষর নিয়েছে। আসলে আমি মামলা করতে চাইনি। আমি এখনো টাকা ফেরত পাইনি। আর মৌসুমীর কোন দোষ নেই। সে ছিনতাই চক্রের সাথে ছিল না।
এই বিষয়ে হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, বাদীকে জোর করে মামলা করা হয় নি। মনু মিয়ার টাকা কি ছিনতাই হয়নি? আর
এসআই শুভ কুমার শুরের বিরুদ্ধে যদি এমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।