স্টাফ রিপোর্টার।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও তাঁর সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার দ্বিতীয় প্রধান আসামি মো.সোহেল ওরফে জেল সোহেলসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত অপরজন হলেন মামলার এজাহারনামীয় ১০ নম্বর আসাসি সায়মন আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাদেরকে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস বলেন সোমবার মধ্যরাতে মামলার দ্বিতীয় আসামি জেল সোহেল ও ১০ নম্বর আসাসি সায়মনকে কুমিল্লা সদরের পালপাড়া ব্রিজ এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনও রিমান্ড শুনানি হয়নি। আমরা আদালতের অপেক্ষা করছি।
এদিকে, জোড়া খুনের মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ডিবি পুলিশের কাছে মামলার সকল নথিপত্র হস্তান্তর করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.কায়সার হামিদ।
গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়া পাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ মামলায় এজাহারনামীয় সাতজন ও সন্দেহ ভাজন দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। বন্দুকযুদ্ধে এজাহারনামীয় তিন আসামি মারা যান। আর পলাতক রয়েছেন ১১ নম্বর আসামি রনি।
(সূত্র কালের কণ্ঠ)