নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে ডুকে কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল এবং আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে নিহতের স্ত্রী, ছেলে ও দুই কন্যা সন্তান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় নিহতের বাড়িতে যান কুমিল্লা সদর (৬) আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এসময় নিহত সোহেলের স্ত্রী, ছেলে ও দুই কন্যা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটক করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান। একই দাবি জানান নিহত আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহার স্বজনরা। নিজ কর্মী নিহত হওয়ায় ব্যাথিত এমপি বাহার দুই নিহতের বাড়িতে গেলে স্বজনদের আত্মচিৎকার ও আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।
এ সময় এমপি বাহার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন একটি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিকে এগিয়ে নিতে নিজেকে আত্মনিযোগ করেছিল সোহেল, আমি তাকে সেভাবেই তৈরি করেছিলাম, আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী ছিল সে। এমপি বাহার বলেন, সোহেল হত্যাকান্ডের জন্য আমার, দলের এবং ১৭ নং ওয়ার্ডের মানুষের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুরণ হবার নয়। সোহেল নির্বাচিত হয়ে আমার সাথে কথা বলে ১৭ নং ওয়ার্ডের অনেক উন্নয়ন করেছে, আমি তাকে সবসময় সহযোগিতা করেছি। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তাদেরকে দ্রুত আটক করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে কাউন্সিলর সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদেরকে নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। এ সময় অন্তত ১০ জন কালো মুখোশধারী সন্ত্রাসী ওই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলো পাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে গুলিবিদ্ধ সোহেল সাথে সাথেই নিজের চেয়ার থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির আওয়াজে আশপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পাশের বউবাজার এলাকা দিকে পালিয়ে যায়।
এ সময় হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলরসহ আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ওই দু’জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।