মোঃ গোলাম কিবরিয়া।
মণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় আটক যুবক ইকবাল হোসেনকে (৩০) কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় আনা হয়েছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন নিয়ে আসা হয়।
কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এম তানভির আহমেদ বলেন, নানুয়ার দীঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার দায়ে ইকবালকে আটক করা হয়েছে। আশা করছি তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে আপনাদের জানানো হবে।
আটক ইকবাল কুমিল্লা মহানগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর লস্করপুকুরপাড় এলাকার নূর আহম্মদ আলমের ছেলে। মণ্ডপের আশপাশসহ নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার পরিচয় নিশ্চিত হয়। পরে তাকে গ্রেফতারে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে আটক করে পুলিশ। খবর পেয়ে রাতেই কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকারের নেতৃত্বে কুমিল্লা থেকে রওনা দেয় পুলিশের একটি টিম।
আটক ইকবালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সেখান থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়।
১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৯ মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।