নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ৪০ কিলোমিটার অংশজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে দূরবর্তী গন্তব্য যাওয়া যাত্রীরা। মহাসড়কটিতে শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে, যা এখনও রয়েছে তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে যানজট আছে তাই বাহনগুলো ধীরে চলছে। ধীরগতির কারণে যানজট বেড়ে কুমিল্লার চান্দিনা থেকে দাউদকান্দি টোলপ্লাজা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন,শুক্রবার ভোর ৬ টার দিকে চান্দিনার পালকি সিনেমা হলের কাছে একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ কারণেই প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, আশা করা যায় দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত নয় সড়কের যাত্রীরা মহাসড়কে যানজটের কারণে ভোগান্তির শিকার আশরাফুল আলম বলেন,ভোরে কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দেই। সেনানিবাস এলাকা থেকে নিমসার পর্যন্ত ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার হবে। এটুকু পথ আসতে ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের চালক নবী হোসেন বলেন কুমিল্লার আলেখারচর থেকে এক ফিট এক ফিট করে চান্দিনা পর্যন্ত আসতে ২ ঘণ্টা সময় লাগছে। আরও কতক্ষণ লাগে ঢাকা যাইতে আল্লায় জানে।
কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ৪ ঘণ্টায় মাত্র ১৫ কিলোমিটার যেয়ে আবার ফেরত যাচ্ছেন শাওন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যে যানজট সৃষ্টি হয়েছে তাতে মনে হয় না আজ ঢাকা যেতে পারব। তাই কুমিল্লার দিকে ফিরে যাচ্ছি।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি জহুরুল হক বলেন,মহাসড়কে লরি নিয়ন্ত্রণ হারানোর পাশপাশি চান্দিনার আরেকটি অংশে সংস্কার কাজ চলছে। এ দুই কারণে ওই এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে মহাসড়কে শুক্রবার কোনো সংস্কার কাজ হচ্ছে না বলে জানান কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা। তিনি জানান, শুক্রবার লোকজন না থাকায় কাজ বন্ধ। দুর্ঘটনার জন্যই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।