আসিফ হায়দার জিসান।
কুমিল্লায় সাত বছর চাচীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে রাজিবের আত্মহত্যা মামলার পূর্ণ তদন্তের জন্য সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত ২০২০ সালের ১৭ই এপ্রিল ছোটরা পশ্চিম পাড়ার ভাড়া বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মিজানুর রহমান রাজিব।
প্রথমে কোতয়ালি থানায় একটি আত্মহত্যা মামলা হয়। পরে রাজিবের বাবা জাহাঙ্গির আলম বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে আয়েশা আক্তার এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
পরে মামলাটির তদন্ত পিবিআই এর নিকট হস্তান্তর করেন আদালত পিবিআই তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় অভিযোগীয় ঘটনায় অধিকতর তদন্ত হওয়া সমিচিন বিবেচনায় মামলাটি তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সিআইডির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক ঢাকা এবং সিআইডি কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর নিকট প্রেরণ করা হয়।
সিআইডির তদন্তর বিষয়টি নিয়ে মোবাইল নাম্বার এ একাধিকবার যোগযোগ করার চেষ্ঠা করতে ব্যর্থ হলে। আয়েশা আক্তার এর বাড়িতে গিয়ে জানতে চাইলে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
আয়েশা আক্তার প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়েতে কুমাড়ী উল্লেখ করার বিষয়ে কাজী বেলাল হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রথম বিয়ে করে ২০০৬ সালে এবং দ্বিতীয় বিয়ে করে ২০০৯ সালে তিন বছরের ব্যবধান তিনি কিছু জানেন না।
পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদনে দাখিল করে মৃত মিজানুর রহমান রাজিব মাদকাসক্ত। এই বিষয়ে ছোটরা ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিল এর কাছ থেকে জানতে চাই তিনি জানান, রাজিবকে তিনি কখনও মাদক সেবন করতে দেখেননি।
মামলাটির তদন্ত সিআইডির নিকট প্রেরণ করার পর, মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবী করছেন রাজিবের বাবা।
এই বিষয়ে সিআইডি তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি এনামুল হক বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদনের বিষয়টি জানাতে পারবেন বলে তিনি জানান।