আবদুল্লাহ আল মামুন:
নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় দরবেশের হাট ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গাজালা পারভীন রুহি এর নির্দেশে সিলগালা করে দেয় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বুধবার (১ জুন) দুপুরে অভিযান চালিয়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, গত ৩০ মে উক্ত হাসপাতালের ফ্রিজে মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিসিন রাখা ও সেলাই সুতা, কেমিকেল রিএজেন্ট পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট আইনে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি আরও জানান, উক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিনের মধ্যে লাইসেন্স সহ সকল কাগজপত্র আপডেট করা নির্দেশ প্রদান করা হয়। হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথাও বলা হয়। কিন্তু (১ জুন) বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগ খতিয়ে দেখার জন্য গেলে উক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্যাথলজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফী সহ সকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় সিলগালা করে দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা ছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। নির্দেশনা পালন হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বুধবার (১ জুন) সকালে কয়েক কর্মকর্তা ও কর্মচারী অভিযানে যান। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সালেহ উদ্দিন আকবর, সহকারী সার্জন ডা. সুনন্দ সেন, দাগনভূঞা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইন উদ্দিন সহ পুলিশ সদস্যরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মে দরবেশের হাট ডায়াগণষ্টিক ও হাসপাতালের নিবন্ধন না থাকায়, হাসপাতালেরর ফ্রিজে মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিসিন রাখা ও সেলাই সুতা কেমিকেল রিএজেন্ট পাওয়ায় হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হয়। হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে আগামী ১ দিনের মধ্যে সকল কাগজপত্র দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
বুধবার (১জুন) সকালে খতিয়ে দেখতে গেলে লাইসেন্স দেখাতে পারেনি এবং হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণার পরও নির্দেশ অমান্য করে হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক সহ সকল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।