নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিমিধি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এতে সরব হয়ে উঠছে কুমিল্লা মহানগরী। প্রচারণার চতুর্থ দিন সোমবার (৩০ মে) দুপুরে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কান্দিরপাড় এলাকায় গণসংযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। এ সময় সদ্যবিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে উদ্দেশ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (সাক্কু) টানা ১৬ বছর কুমিল্লা পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে ছিলেন। দীর্ঘ সময়ে কুমিল্লার মানুষের জন্য তিনি কী করেছেন, তা দৃশ্যমান। আধাঘণ্টা বৃষ্টি হলে কুমিল্লা পানির নিচে। যানজট ও স্বাস্থ্য সমস্যাসহ আরও নানান সমস্যা রয়েছে।’
আরফানুল হক রিফাত বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালনের সময়ে যারা দুর্নীতি করেছেন আমি নির্বাচিত হলে ১৫ দিনের মধ্যে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দুর্নীতিবাজদের তালিকা কুমিল্লার মানুষের কাছে পৌঁছে দেবো। প্রয়োজনে টাউন হল মাঠে কুমিল্লার মানুষ ডেকে কে কী অপরাধ করেছেন-সব অপরাধের দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিফাত বলেন,সিটি করপোরেশন চালান মেয়র। তিনি এসব ব্যাপারে যদি অন্য কারোর ওপর দোষারোপ করেন, তাহলে আমি বলবো আসলেই তার শিক্ষার দৈর্ঘ্য খুব কম। আমি আরফানুল হক রিফাত কুমিল্লা মেয়র হলে আমার মেধা এবং শিক্ষা দিয়ে সিটি করপোরেশন পরিচালিত করবো। কুমিল্লা নৌকার শহর উল্লেখ করে তিনি বলেন।
আওয়ামী লীগ ও এর যত অঙ্গসংগঠন রয়েছে সবগুলোর কমিটি রয়েছে। এক কথায় বলতে পারি কুমিল্লা মহানগর বিগত বছর থেকে এখন অনেক শক্তিশালী। সুতরাং আমার সঙ্গে যারা ভোট যুদ্ধে নেমেছেন তারা কয়জন সেটা বিষয় নয়; আমি আমার শক্তি নিয়ে এগুবো-আমি শেখ হাসিনার প্রার্থী। আমাকে ভোট দিলে ভোটটা যাবে শেখ হাসিনার বাক্সে। কুমিল্লাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেভাবে আ ক ম বাহার উদ্দিন বাহার (কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি) কাজ করেন, আমি সেভাবেই কাজ করবো।’
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশসহ বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। আমরা কুমিল্লা সিটি নির্বাচনকে একটি মডেল নির্বাচন হিসেবে উপহার দিতে চাই।