নিজস্ব প্রতিবেদক।
কক্সবাজারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ছয় ভাই নিহত হওয়া শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছেন।
ডিসি বিপ্লব কুমার বলেন মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা আমার মনে দাগ কাটে তাই নিজ উদ্যোগে কিছু অর্থ সহায়তা করেছি।
চকরিয়া থানা পুলিশ জানায়, বিপ্লব কুমারের সহায়তা থানায় পৌঁছানোর পর তা পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সাতজনকে ১০ হাজার করে মোট সত্তর হাজার টাকা পৃথকভাবে দেওয়া হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছয় ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন সকালে মৃত বাবার শ্রাদ্ধের প্রস্তুতি শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সাত ভাই ও দুই বোন এই দুর্ঘটনার শিকার হন। ঘটনাস্থলেই চার ভাই মারা যান।
পিকআপ গাড়ি চাপা দেয়ার পর গুরুতর অবস্থায় দুই ভাইকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয় কিন্তু চার ভাইয়ের মরদেহ দাহ শেষ হওয়ার আগে হাসপাতালে পাঠানো আহত এক ভাইয়ের মৃত্যুর খবর আসে। সবশেষ ২২ ফেব্রুয়ারি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক ভাই রক্তিম শীল মারা যান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে মৃত বাবার শ্রাদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে পূজা করে ফেরার পথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সাত ভাই ও দুই বোন। এ সময় তাদেরকে চাপা দেয় সবজি বহনকারী একটি পিক-আপ। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান চার ভাই। পরে হাসপাতালে আরও দুইজন মারা যান। এছাড়া প্লাবন শীল নামে আরেক ভাই চিকিৎসায় শেষে বাসায় ফিরেছেন। তিনি এ বছরই এইচএসসি পাস করেন এবং পরিবারের ছোট ছেলে। তাছাড়া দুর্ঘটনায় আহত একজন বোন কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
প্লাবন শীলরা ছিলেন আট ভাই দুই বোন। এর মধ্যে ২০১৯ সালে এক ভাইয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ঘাতক পিকআপের চালক সহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ঘটনার পর মালিকের নির্দেশেই সাইফুল আত্মগোপনে যায়।
সূত্র ঢাকাটাইমস