ডেস্ক নিউজ।
চট্টগ্রামের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহকারী ভোলাকে যশোরের বেনাপোল বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় গ্রেপ্তারের পর বেনাপোল থেকে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।
তিনি জানান, আসামি এহতেশামুল হক ভোলার জামিন বাতিলের পর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। যশোর থেকে আনার পর আজ শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মিতু হত্যার ঘটনায় তার বাবার করা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ভোলাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৪ অক্টোবর সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলার জামিন নামঞ্জুর করে চট্টগ্রামের একটি আদালত। আসামি ভোলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করতে সময়ের আবেদন করেন।
মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর আসামি এহতেশামুল উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। মেয়াদ শেষ হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন বাবুল আক্তার। কিন্ত সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ মে তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই।
পরে ১২ মে বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এই মামলায় আসামি করা হয় এহতেশামুল হক ভোলাকে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক আটকের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।
(সূত্র খোলা কাগজ)