হালিম সৈকত কুমিল্লা ।
ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
আবুল হোসেন মোল্লা একজন নির্লোভ ও নিরহংকার ব্যক্তি তিনি যে কোনো প্রার্থীর জন্য তিনি মডেল। তাঁর ওপেন চ্যালেঞ্জ তিনি বিগত দুই মেয়াদে ১০ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় একটি টাকাও বিচার বাণিজ্য করেননি। তিনি চেয়ারম্যানের
দায়িত্বে আসার পরপরই এলাকায় রাজত্ব করা জুয়ার মতো অপকর্ম নির্মূল করেছেন। ঘুষমুক্ত বিচার শালিসের ঘোষণা দিয়েছেন। বিগত ১০ বছরে চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে অবহেলিত ভিটিকান্দির উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।
সরকারি কোনো বরাদ্দের একটি পয়সাও তাঁর পরিবারে যায় নি। সরকারি বরাদ্দের রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রীজ, স্ট্রিট লাইট, গোসলখানা, কবরস্থান নির্মাণ, দরিদ্র মানুষের ঘর নির্মাণ, সৌরবিদ্যুৎসহ সকল কাজের যথাযথ কাজ তিনি করেছেন।
জনগনের মুখে মুখে চেয়ারম্যান আবু মোল্লার জয়গান। জনপ্রিয়তা তার আকাশচুম্বী। সাধারণ মানুষের ভালোবাসার আরেক নাম আবুল হোসেন মোল্লা।
বিগত দিনে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের জন্য ২৬ শতাংশ জমি, মসজিদের জন্য সাড়ে ১৮ শতাংশ জমি এবং উন্মুক্ত কবরস্থানের জন্য ৩২ শতাংশ জমি দান এবং নতুন একটি মাদ্রাসার জন্য ৯০ শতাংশ জমি দান করেছেন। এই জমিগুলোর বর্তমান মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।
তাছাড়া বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসাসহ অসহায় ও গরীব দুঃখী মানুষের মেয়েদের বিয়ের জন্য বিপুল অর্থ সহযোগিতা করেছেন। করোনাকালিন সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন।
ভিটিকান্দির পূর্বাঞ্চলের রাস্তাগুলো মানুষের চলাচলের অনুপযোগী ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রায় ৯০ শতাংশ জায়গা চলাচলের যোগ্য করে তুলেছেন। সাধারণ মানুষের মুখে মুখে আবুল হোসেন মোল্লার নাম। সকলের প্রত্যাশা আগামীর চেয়ারম্যান হবেন তিনিই।
এক প্রশ্নের জবাবে আবুল হোসেন মোল্লা চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ১০ বছরে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন, বিচার বাণিজ্য, থানার দালালি কিংবা বিভিন্ন ভাতা কার্ড করতে গিয়ে একটি পয়সা নিয়েছি এমন একটি প্রমাণ কেউ দেখাতে পারলে প্রার্থী হওয়া থেকে সরে আসবো। আমার পরিষদে এমন নজির রয়েছে দুর্নীতি করে কয়েকজন ইউপি সদস্য আইনগত কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হয়েছেন।
আমি আশা করবো, আমি যদি সততার সঙ্গে থেকেই যদি জনগনের সেবা করে থাকি তাহলে এবারের ইউপি নির্বাচনে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে তারা আমাকে আবারও জয়যুক্ত করবে।
আমি আবারও ভিটিকান্দি ইউনিয়নবাসির সেবা করতে চাই। বিধাতা সকলের মঙ্গল করুক।