রফিকুল ইসলাম।
সচেতন নাগরিক তার পরিচিত এক নারীর দুর্ভোগ জানিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে লিখে উক্ত নারীর পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি জানান, তার পরিচিত এক নারী সন্তান ও স্বামীসহ সাভারের হেমায়েতপুরে বসবাস করছিল। উক্ত নারী একটি গাজীপুর চান্দুরায় একটি গার্মেন্টস এ অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন। তার স্বামী একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি করতেন। একদিন অফিস শেষে উক্ত নারী রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
এমন সময় পার্শ্ববর্তী অপর একটি গার্মেন্টস এর পরিচিত গাড়ির ড্রাইভার কপিল মিয়া তার সামনে গাড়ি থামায়। কপিল মিয়া উক্ত নারীকে জানায় গাড়িটি ফাঁকা যাচ্ছে এবং সে উক্ত নারীর বাসার পাশ দিয়েই যাবে। কপিল মিয়া তাকে গাড়িতে উঠার জন্য আহবান জানায়। রাস্তায় জ্যাম-জট ও গাড়ির সংকটের কথা বিবেচনা করে উক্ত নারী সৎ বিশ্বাসে কপিল মিয়ার গাড়িতে উঠে। পরবর্তীতে উক্ত নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গাড়িটি অন্য কোথাও নিয়ে যায়।
কপিল মিয়া। গার্মেন্টস কর্মী সেই নারীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে রাখে এবং সেই ভিডিও ও ছবি তার স্বামী ও আত্মীয়দের কাছে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে এরপর প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে উক্ত নারী তার ডাকে সাড়া না দিলে সে তার স্বামীর নিকট আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠায়। এতে সেই নারীর সংসার ভেঙে যায়। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
পুলিশ কিংবা আইনি সহযোগিতা নিতেও দ্বিধান্বিত ছিল সেই নারী। তথ্যদাতা ভদ্রলোক উক্ত নারীর কোনো যোগাযোগের নম্বর বা ঠিকানা সরবরাহ করতে পারেননি। তবে, তিনি উক্ত নারীর এক নিকট আত্মীয়ের মোবাইল নম্বর সরবরাহ করেছেন। সেই সূত্র ধরে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উক্ত নারী ও তার পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে।
অভিযুক্ত কপিল মিয়া লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার সবদল গ্রামের বাসিন্দা। এই বার্তাসহ বিস্তারিত আদিতমারী থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলামকে পাঠিয়ে তদন্ত করে দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য নির্দেশনা দেয় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে। ওসি আদিতমারীর উদ্যোগে নানা স্থানে রেইডের মাধ্যমে অবশেষে আসামীকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শ্রদ্ধান্তে
মো. সোহেল রানা
এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স)
বাংলাদেশ পুলিশ