নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার লাকসামে করোনার টিকা নেওয়ার আধা ঘণ্টা পর বুকে, পেটে ব্যথা ও বুমি নিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর শুক্রবার রাত ৩ টায় সামছুন নাহার নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বৃহস্পতিবার উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের কোঁয়ার কমিউনিটি ক্লিনিকে ও কোটইশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধূ সামছুন নাহার (৬০) উপজেলার কোটোসা গ্রামের মৃত সামছুল হকের স্ত্রী খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উপজেলার বাকই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের কোঁয়ার গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে ৭৫০ জনকে করোনা টিকা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী অজিফা খাতুন ও ক্লিনিকের দায়িত্বরত হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার পূরবী রানী দাস ওই দিন টিকা প্রদানে সময় কর্মরত ছিলেন।
টিকা কার্ডে সময় মত তারিখে টিকা না নিয়ে এবং ওই ক্লিনিকে না গিয়ে সামছুন নাহার তিনি সন্ধায় উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী অজিফা খাতুনের বাড়িতে ঠিকা গ্রহণ করেন। টিকা নেওয়ার আধা ঘণ্টা পর তার বুকে ব্যথা শুরু হয়। কোটইশা নিজ বাড়ীতে এসে সামছুন নাহার পেটে ও মাথা ব্যাথার পাশাপাশি বমি করতে করতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার ছেলে শহিদ উল্লাহসহ বাড়ির স্বজনরা সামছুন নাহারকে প্রথম স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালে পরে কুমিল্লা হাসাপাতালে নিলে শুক্রবার রাত ৩ টায় দিকে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ শনিবার নিহত ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসেন টিকা প্রদানকারী উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী অজিফা খাতুন বলেন, বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় ৭৫০ জনের কার্ড অনুযায়ী টিকা দেওয়া হয়েছে। সেই দিন অন্যদের সঙ্গে সামছুন নাহার টিকা নিতে কেন্দ্রে আসে নাই । সে গত ২৫ ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ডোজ ও ৬ জুনে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমার বাড়িতে টিকা গ্রহণ করেছে সম্পন্ন মিথ্যা কথা। স্থানীয় কাছে শুনতে পাই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন। আমাকে ফাঁসাতে স্থানীয় চেয়ারম্যান এ নাটক সাজিয়েছেন।
নিহত সামছুন নাহারে ছেলে শহিদ উল্লাহ ও মেয়ে মাহমুদা আক্তার বলেন, আমার মায়ের টিকা দেওয়ার কার্ড করে দিবে বলে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়েছে। কার্ডে নির্ধারিত সময়ে লেখা থাকলেও ওই সময় তিনি টিকা দেয়নি। নভেম্বর ৩০ তারিখে রাস্তার মধ্যে প্রথম টিকা দেওয়া হয় পরে চলতি মাসে ডিসেম্বর ৯ তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধায় টিকা প্রদানকারী মাঠ কর্মী অজিফার নিজ ঘর থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়ে আধা ঘন্টার পর বাড়িতে আসেন।
এসময় তার বুকে, পেটে ও মাথা ব্যথা শুরু হয় তার পাশাপাশি বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসাপাতালে নিলে রাতেই মারা যান। প্রদানকারী মাঠ কর্মী অজিফা খাতুনের ভুলের কারণেই আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয় শনিবার সন্ধায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম কি কারনে ওই সামছুন নাহারের মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে বলা যাবে।