নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
আমি বিকাশ থেকে ওয়াহিদ বলছি। আপনার একাউন্টটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এরপর স্থগিত একাউন্টটি চালুর জন্য প্রতারকের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করেই বিপদে পড়েন নাহিদা নামের এক ভুক্তভোগী। মুহুর্তেই হাতিয়ে নেয়া হয় তার প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে।
আসা প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পুলিশ। ৯ মার্চ রাতে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার তেলিপুকুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় গ্রেফতারকৃত আসামি সারমিন সুলতানা(৩৫)বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
জেলার কোতয়ালী থানাধীন ভাটপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাহিদা আক্তারকে (২৭) গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বিকাশ অফিস থেকে ফোন কলের নাম করে অভিনব কায়দায় এক প্রতারক ৩৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তিনি ৫ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন। ৬ জানুয়ারি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
যার একাউন্টে প্রতারণার অর্থ রাখা হয়েছিল এবং তার সাথে প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যরা নিয়মিত যোগাযোগ করতেন কুমিল্লা অপরাধ তদন্ত বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) খান মোহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, চক্রটি পুরো পুরো দেশে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একত্রিত হয়ে এই কাজ করছে। তাদের ধরতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেতে হয়। আমরা এখন একজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিরাও আমাদের নজরে আছে। শীঘ্রই এই চক্রের সবাইকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।