নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা জেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন নম্বর চট্ট- ২০৪৪ প্রধান কার্যালয় ফৌজদারী ,কোর্ট রোড কুমিল্লা”র আয়োজনে সৈয়দ মোশারফ হোসেন ,আবুল কালাম আজাদ ও ওবায়েদুল হক গং নিমসার বাজারে প্রধান কার্যালয় স্থাপন করে অবৈধ ভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিবাদে গতকাল ১৩ অক্টোবর বুধবার সকাল ১১ টায় ফৌজদারীস্থ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানাযায়, কুমিল্লা জেলা ট্রাক পরিবহন কমিটির আওয়াতাধীন বিভিন্ন রোডে চলাচলকারী ট্রাক মালিকদের অধীনে কর্মরত চালক ও সহকারীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ট্রেড ইউনিয়ন। ১৯৯৯ সালে রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স চট্রগ্রাম হইতে ইউনিয়নটি রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত হয় যাহার প্রধান কার্যালয় ফৌজদারী কোর্ট রোড কুমিল্লাপ্রতি বছর ৩১ শে ডিসেম্বেরের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভার মাধ্যমে ইউনিয়নের জমা খরচের হিসাব নিকাশ অনুমোদন নেওয়ার বিধান থাকলেও সৈয়দ মোশারফ হোসেন ২০১২ সাল পর্যন্ত একটানা ৮ বছর ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন কালে শ্রম দপ্তরে কোন রিটার্ন জমা দেননি।
ইউনিয়নটিকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করেন তিনি। ২০১২ সালে সৈয়দ মোশারফ হোসেন ব্রেইন ষ্টোক করেন , অসুস্থ জনীত কারণে তিনি স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ইউনিয়নের সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন কে সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্ব প্রদান করেন। ইতোমধ্যে শ্রম দপ্তর হতে বিগত দিনের বার্ষিক রিটার্ন ও নির্বাচন করার জন্য তাগিদ দেয়। ছিদ্দিকুর রহমান ও কামাল হোসেন গং ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রেশন রক্ষা করার জন্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।
ঐ নির্বাচনে ছিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি ও কামাল হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি গঠন করে ইউনিয়নের রিটার্ন শ্রমদপ্তরে জমা দেন সৈয়দ মোশারফ হোসেন অসুস্থ অবস্থায় ছিদ্দিকুর রহমান ও কামাল হোসেন এর কমিটির বিরুদ্ধে শ্রম দপ্তরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। ২০১৫ সালে ছিদ্দিকুর রহমান সভাপতি ও কামাল হোসেন এর কমিটিকে শ্রম দপ্তর সকল প্রকার নথিপত্র যাচাই বাঁচাই করে অনুমোদন দেন।
তার পর থেকেই সৈয়দ মোশারফ হোসেনগন বিগত দিনের হিসাব নিকাশ ও নথিপত্র বুঝিয়ে না দিয়ে চুরি করে বাড়ি নিয়ে যায়। বর্তমান কমিটি লিখিত ও মৌখিক ভাবে হিসাব নিকাশ ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ইউনিয়ন অফিসে জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি তা কর্ণপাত না করে তার খেয়াল খুশিমত চলে আসছিলেন। এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছিল, পরবর্তিতে চুরির দায়ে তাকে শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে বিশেষ সাধারন সভার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
সৈয়দ মোশারফ হোসেনগন শ্রমঅধিদপ্তরের বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করে।এদিকে নিমসার শাখার সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও নির্বাহী সদস্য ওবায়েদুল হক কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মোশারফ গং নিমসার শাখায় বিভিন্ন অনিয়ম করান। এ ব্যপারে নিমসার শাখার নেতৃবৃন্ধ প্রধান কার্যালয়ে বহুবার মৌখিক ও লিখিত ভাবে অভিযোগ করে, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্ধু নিমসার শাখায় সভা করে।
তাদের কে সাবধান করেন এবং নিমসার শাখার হিসাব নিকাশ প্রধান কার্যালয়ে বুজিয়ে দেওয়ার জন্য আদেশ করেন। বহুবার হিসাব চাওয়ার পরও তারা কোন হিসাব দেয়নাই। তাদের এ একগেয়ামির কারনে ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার আদেশ পেয়ে কোন জবাব না দিয়ে তারা তাদের দায়ীত্ব থেকে গত ২২-৩-২০২১ তারিখে অব্যহতি নেন।
আর এ সুযোগে মোশারফ তাদেরকে সাথে নিয়ে হঠাৎ করে নিমশার বাজারে প্রধান কার্যালয় স্থাপন করে গত ১০ অক্টোবর আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ সাধারণ সভা কওে একটি নির্বাচন কমিটি গটন করে শ্রমিক অঙ্গনে বিশৃংখলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে রেজিষ্টার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স এরউপ পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন সৈয়দ মোশারফ হোসেন ,আবুল কালাম আজাদ ও ওবায়েদুল হক গং সম্পন্ন অবৈধ অসাংগঠনিক কার্যক্রম করিতেছেন, তাদেরকে আমি চিঠি দিয়েছি,কোন উত্তর পাইনি ,এ ব্যাপারে বুড়িচং থানাতে অবগত করিয়েছি